ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইফতার পার্টি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই, সম্প্রতি
রাজধানীর একটি ফাইভ স্টার হোটেলে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য: পীর সাহেব চরমোনাই তার বক্তব্যে দেশের সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, "
এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। তাই এসব ক্ষেত্রে সংস্কার হতেই হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশ্বের নব্বইটিরও বেশি দেশে অনুসৃত সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) অনুসরণ করা হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হবে। উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ: ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাসেত আজাদ আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার ফুয়াদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান ও ফারুক আহমেদ এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান, ভুটান ও কসোভোর কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যে ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার শীর্ষ সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচিত বিষয়সমূহ: পীর সাহেব চরমোনাই দেশের রাজনৈতিক চরিত্র পরিবর্তন করে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নির্মাণের আহ্বান জানান। তিনি দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব জনপ্রশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও দক্ষ করে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালানোর গুরুত্ব আরোপ করেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, "ইসলামে প্রতিবেশীকে সম্মান করা এবং তাদের কষ্ট না দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিবেশীকে সম্মান করার এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে তাদের কোনো ক্ষতি না করতে দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।"
উপসংহার: ইফতার মাহফিলটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। পীর সাহেব চরমোনাইয়ের এই উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।